শিরোনাম
শেখ ফয়েজ আহমেদ, ফরিদপুর : | ০৭:২৩ পিএম, ২০২২-১১-২৮
ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন থানায় চাঞ্চল্যকর খুনের বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিং গতজাল বেলা তিনটায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান, এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন, ডিবির ওসি মামুনুর রশিদ। এ সময় ফরিদপুরের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রেস ব্রিফিং এ জানানো হয়, গত ইং-২৫/১১/২০২২ তারিখ দিবাগত রাত হতে ইং-২৬/১১/২০২২ তারিখ ভোর ০৫:০০ ঘটিকার মধ্যে অজ্ঞাতনামা খুনি বা খুনিরা ডিসিস্ট কাউসার খানকে চরভদ্রাসন থানাধীন চর হরিরামপুর ইউনিয়নের বিশাই মাতুব্বরের ডাঙ্গী সাকিনস্থ জনৈক জিয়ারত শেখের জমির উপর হত্যা করিয়া বালু চাপা দিয়ে রেখে যায়। উক্ত সংবাদ পেয়ে চরভদ্রাসন থানার পুলিশসহ সদর সার্কেল জনাব সুমন রঞ্জন সরকার এবং ডিবির অফিসার ইনচার্জ পর্যাপ্ত সংখ্যক অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকান্ডের মোটিভ উন্মোচনের জন্য অভিযান পরিচালনা করে। তদন্ত কালে তারা সাফাণ্ডত ইসলাম সিফাত, ও মোঃ শাহিন মোল্লাদ্বয়কে হত্যা কান্ডে জড়িত থাকার কু পেয়ে তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সাফাওত ইসলাম সিফাত হত্যাকান্ডে জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং তার দখল হইতে ডিসিস্টের মোবাইলের পোড়া অংশ বিশেষ, গায়ে পরিহিত জ্যাকেট, পরিহিত শার্ট প্যান্ট ও হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ডিসিস্ট কাউসার এর সহিত সাফাওত ইসলাম সিফাত এর সমকামিতার সম্পর্ক ছিল এবং এই সম্পর্ক গড়তে ডিসিস্ট তাকে বাধ্য করেছিল। ডিসিস্ট প্রায়ই তাকে উক্ত কাজে বাধ্য করত। যা সাফাত্তত ইসলাম সিফাতের মোটেই পছন্দ ছিল না। ডিসিস্ট তাকে এই কাজে মিলিত হতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করত। ডিসিস্ট ঘটনার দিন ইং-২৫/১১/২০২২ তারিখ রাত ০৮:০০ ঘটিকার সময় সাফাওত ইসলাম সিফাতকে ফোন করে ডেকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে সিফাতকে সমকামিতা কাজে বাধ্য করিলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ডিসিস্ট তার পকেট হতে সুইচ চাকু বের করে সিফাতকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিলে সিফাত তার হাত ধরিয়া ফেলে এবং উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ডিসিস্টের গলায় চাকুর আঘাত লাগে এবং ডিসিস্ট মাটিতে উপুর হয়ে পড়ে গেলে সিফাত তার হাত থেকে চাকু কেড়ে নিয়ে ডিসিস্ট এর পিঠের উপর বসে ডিসিস্টের পিঠ, গলা, গর্দান, মাথার পিছনের অংশে উপর্যুপরি আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মোবাইল ফোন, মোটর সাইকেল এবং চাকু নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বাড়িতে ফিরে গেলে তার মা-বাবা তাহার গায়ের রক্ত মাখা কাপড় চোপড় দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করিলে সে তাদেরকে সবকিছু খুলে বলে । তার বাবা শাহিন মোল্লা হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত আলামত ধ্বংস এবং মুছে ফেলে মামলার মোড় ভিন্ন দিকে ঘোরানোর জন্য তার ছেলে সাফাওত ইসলাম সিফাতের পরিহিত জামা কাপড় ধুয়ে ফেলে, জ্যাকেট বসত বাড়ির মাটির মধ্যে পুতে ফেলে এবং ডিসিস্টের মোবাইল পুড়িয়ে ফেলে। চাকু তার বাড়ির পাশে পুকুরের মধ্যে ছুড়ে ফেলে এবং ডিসিস্টের মোটর সাইকেল থানা ফরিদপুরের চানমারি এলাকায় রেখে আসে। এই সংক্রান্তে চরভদ্রাসন থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।#
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলায় নতুন চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার হোমনা থানা এলাকার বাঘা শরীফ বলী। বৃহ...বিস্তারিত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : : বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক...বিস্তারিত
সংবাদদাতা, রাজশাহী : রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। ...বিস্তারিত
বান্দরবান প্রতিনিধি : : বান্দরবানের রুমায় অস্ত্র লুটের ঘটনায় কুকি-চিন সদস্য সন্দেহে গ্রেফতার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিস...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সাতজন চেয়ারম্যান, ৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ১০ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : যৌথ অভিযানের কারণে বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ - © 2024 Dainik Amader Bangla | Developed By Muktodhara Technology Limited